ওয়েব ডেস্ক: পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে লাদাখকে (Ladakh)। এমনই দাবি জানিয়ে লাদাখের লেহতে বুধবার দিনভর বিক্ষোভ চললেও বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়নি। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় লেহ -লাদাখের (Ladakh) বাসিন্দা ‘জেন জি’দের। লাদাখে (Mass Protest Ladakh) হিংসা ছড়ানোর জন্য জলবায়ু আন্দোলনকর্মী সোনম ওয়াংচুককেই (Sonam Wangchuk) কাঠগড়ায় তুলল কেন্দ্র। এবার ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী সোনমকে গ্রেফতার করা হল। অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন করে অশান্তি ছড়ায়নি, শুক্রবার সকাল থেকে লেহ-সহ গোটা লাদাখের পরিস্থিতি থমথমে। আঁটসাঁট নিরাপত্তা। বুধবারের হিংসার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন সেখানকার উপরাজ্যপাল কবীন্দ্রর গুপ্ত। কেন্দ্রও লাদাখের পরিস্থিতি সামলাতে ‘বিশেষ দূত’ পাঠিয়েছে। হিংসার ঘটনার পর পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কার্ফু জারি করেন লাদাখের উপরাজ্যপাল। এখনও বলবৎ কার্ফু। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলের পরে কার্ফু তুলে নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: নাবালিকা বিয়ে নিয়ে আইনি দ্বন্দ্ব! শুনানিতে বড় প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাঠানো দল শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে বলে সূত্রের খবর। সরকারের তরফ থেকে এই হিংসার জন্য দায়ী করা হয়েছে অ্যাক্টিভিস্ট সোনম ওয়াংচুককে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বহু নেতা সোনমকে অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও তিনি তা শোনেননি। আরব বসন্তের কায়দায় বিক্ষোভে উস্কানি দিয়ে গিয়েছেন। এছাড়াও নেপালে সাম্প্রতিক জেন জি বিক্ষোভের উল্লেখও করেছিলেন সোনম। এতে করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে পরিবেশকর্মী সোনমের বিরুদ্ধে। সেই সব বক্তব্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালায়। সরকারি অফিস, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়। ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী সোনমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার বলে মনে করা হচ্ছে। লাদাখে অশান্তির ঘটনায় কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। কেন্দ্রের তরফে এই ঘটনার জন্য সোনমকে আগেই দায়ী করা হয়েছিল।
জম্মু কাশ্মীর থেকে পৃথক করার পর ২০১৯ সাল থেকে লাদাখে ভারতের কেন্দ্রীয় শাসন জারি আছে। তখন থেকেই সাংবিধানিক সুরক্ষা ও পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দাবিতে আন্দোলন করছেন লাদাখবাসী। তাদের মূল দাবি হলো, তারা নির্বাচিত স্থানীয় সরকার চান, যা কেবল পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদার মাধ্যমেই সম্ভব। গত ছয় বছর ধরে শান্তিপূর্ণ মিছিল ও অনশনের মতো আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। সেই আন্দোলন হঠাৎ সহিংস রূপ নেওয়ায় প্রশ্ন উহয়েছে?কেন তরুণরা হঠাৎই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠল?
অন্য খবর দেখুন